Site icon চলচ্চিত্র গুরুকুল [ Film Gurukul ] GOLN

হুইল চেয়ার চলচ্চিত্র

হুইল চেয়ার চলচ্চিত্র

হুইল চেয়ার চলচ্চিত্রটি ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এর প্রযোজনায়, তপন সিংহর কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংগীত ও পরিচালনায় নির্মিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র।

 

 

হুইল চেয়ার চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র

অভিনয়—

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন চক্রবর্তী, লাবণী সরকার, মনোজ মিত্র, কৌশিক সেন, রুমা গুহঠাকুরতা, শকুন্তলা বড়ুয়া, অরিজিৎ গুহ, দেবতোষ ঘোষ।

 

 

নেপথ্য সংগীত —

রশীদ খান, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, হৈমন্তী শুক্লা, মুকুল মুখোপাধ্যায়, অরুন্ধতী হোমচৌধুরী।

কাহিনি

ডাক্তার মিত্র (সৌমিত্র) হোম ফর নিউরোলজিক্যাল পেশেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। নিজে নিউরো পেশেন্ট এবং হুইল চেয়ারে আবদ্ধ হলেও তাঁর সেবার মনোভাব এবং উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটি মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।

প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি রুগির প্রতি তাঁর মমত্ববোধ অসীম। সত্ত্ব (অর্জুন) ডাঃ মিত্রর প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপী করে। এক সময়কার মস্তান সত্ত্ব ডাঃ মিত্রর সংস্পর্শে এসে নিজের অতীতকে ভুলতে পেরেছে এবং রোগীর সেবাই এখন তার আদর্শ। প্রতিষ্ঠানে অন্য রুগিদের সাথে ভর্তি আছেন ব্যবসায়ী শতদলবাবু (মনোজ) এবং প্রাক্তন চোর (কৌশিক) প্রভৃতি।

সুস্মিতা (লাবণী) একটি দুর্ঘটনায় প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পায় এবং পঙ্গু অবস্থায় ডাঃ মিত্রর প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়। ডাক্তারের চিকিৎসা এবং সম্ভর ফিজিওথেরাপীর গুণে সে বর্তমানে কিছুটা সুস্থ এবং আগে একদম শয্যাশায়ী থাকলেও বর্তমানে হুইল চেয়ারে বসতে পারছে।

সম্ভ সুস্মিতার অতীত জেনেও ডাঃ মিত্রর অনুমতি নিয়ে সুস্মিতাকে নিজের জীবনসঙ্গিনী করার প্রস্তাব দেয়। সরকারি অনুদান বন্ধের কারণে প্রতিষ্ঠানটি যখন প্রচণ্ড আর্থিক অসুবিধার সম্মুখীন তখন শতদলবাবু প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য দশ লক্ষ টাকা দান করেন। ডাঃ মিত্রর নিঃস্বার্থ সেবা সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ছবিটি ১৯৯৪ সালে সামাজিক সমস্যার উপর নির্মিত বছরের সেরা ছবি হিসাবে ভারতের রাষ্ট্রপতির সম্মান লাভ করেছিল।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version