Site icon চলচ্চিত্র গুরুকুল [ Film Gurukul ] GOLN

লাল দরজা চলচ্চিত্র

লাল দরজা চলচ্চিত্র

লাল দরজা চলচ্চিত্র প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের পরিচালনায় নব্বইয়ের দশকের একটি চলচ্চিত্র। সেই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী গুলশান আরা আক্তার চম্পা; তখন অভিনয়কলার যে পাঠ পেয়েছিলেন, তাকে শিল্পী জীবনের ‘পাথেয়’ হিসেবেই দেখেন চম্পা।

 

 

লাল দরজা চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র

 

অভিনয় –

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, গুলশন আরা আখতা (চম্পা), আসাদ, ইন্দ্রাণী হালদার, নন্দিনী মালিয়া, সোমা চক্রবর্তী, সাধনা রায়চৌধুরী, পায়েল গুহঠাকুরতা, হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, বরুণ চন্দ, সুদীপ মজুমদার।

 

 

কাহিনি—

ডাঃ নবীন দত্ত (শুভেন্দু) কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত দত্ত চিকিৎসক। সংসারে আছে তাঁর স্ত্রী বেলা (চম্পা) এবং পুত্র কুশল। ছোটবেলায় নবীনের বিশ্বাস ছিল যে কোনো অসুবিধার মধ্যে মনে প্রাণে চাইলে লাল দরজা খুলে যায়। বর্তমানে নিজের পেশায় প্রতিষ্ঠিত হলেও সংসারে অন্য কারুর প্রতি তার মমত্ব বোধ ছিল না, তিনি নিজের কাজ, নিজের রোজগার এবং নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।

তাঁর স্ত্রী বেলা নিজেকে সংসারে অবাঞ্ছিত মনে করেন এবং স্কুল শিক্ষিকার চাকরি নিয়ে অন্যত্র চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন, পুত্র কুশলও বাবার সাথে কথা বলতে অস্বীকার করে। প্রাথমিক ভাবে নবীন দত্ত তাঁর স্ত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক অর্ণব এবং বেলার সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন এবং অর্ণবকে খুন করাবার সিদ্ধান্ত নেন।

 

 

তিনি লক্ষ করেন তাঁর গাড়ির চালক দীনু, তার একাধিক স্ত্রী এবং একজন রক্ষিতাকে নিয়ে নিরুপদ্রব জীবনযাপন করে, দীনু অসৎ এবং অলস হলেও দীনুর স্ত্রীরা সংসার ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবে না।

এই যান্ত্রিক শহুরে সভ্যতার মধ্যে নবীন দত্ত নিজেকে বুঝতে চেষ্টা করেন, যদিও ছবির শেষ পর্যন্ত তিনি তাঁর স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের নবীকরণের চেষ্টা করেন না। তিনি আবার তাঁর শৈশবের কাছে ফিরে যাওয়ার কথাই ভাবেন।

 

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

পুরস্কার—

১৯৯৬ সালে সেরা ছবির জাতীয় পুরস্কার স্বর্ণকমল লাভ করে।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version