নিপুণ আক্তার যিনি নিপুণ নামে অধিক পরিচিত একজন বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ইতিমধ্যে দু’বার বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০০৬ সালে ‘রত্নগর্ভা মা’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রেখেছিলেন নিপুণ। ২০১৫ সালে তাকে শেষ দেখা যায় ‘আপোষহীন’ নামের একটি চলচ্চিত্রে।
ব্যক্তিগত জীবন
উচ্চমাধ্যমিকের পর নিপুণ ১৯৯৯ সালে রাশিয়া চলে যান। মস্কোতে নিপুন ২০০৪ পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। পড়াশোনা করেছেন কম্পিউটার বিজ্ঞানে, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে। কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ প্রস্ততকারক কোম্পানিতে।অভিনয়ের পাশাপাশি নিজস্ব একটি পার্লার পরিচালনা করেন তিনি। টিউলিপ এন্টারটেইনমেন্ট নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন তিনি। তার একটি মেয়ে আছে। তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।
অভিনয় জীবন
নিপুণ আক্তার ২০০৬ সালে বাংলাদেশে বেরাতে এসে ঢুকে পরেন ঢাকার সিনেমা জগতে। এর পর আর ফিরে তাকাননি নিপুণ। নিপুনের প্রথম অভিনীত ছবির নাম রত্নগর্ভা মা, যা আজও মুক্তি পায়নি। তার অভিনীত পিতার আসন প্রথম মুক্তি পাওয়া ছবি। গত ৮ বছরে ৩৫টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল: শাহিন কবির টুটুলের এইতো ভালবাসা, রকিবুল আল রাকিবের জান তুমি প্রাণ তুমি, অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের পরিচালনায় অন্তর্ধান। এছাড়া বর্তমানে শুটিং চলতি আছে অনন্য মামুনের পরিচালনায় কাছে এসে ভালবাসো, মানিক মানবিকের পরিচালনায় শোভনের স্বাধীনতা তন্ময় তানসেন এর পরিচালনায় পদ্ম পাতার জল, মোহাম্মদ হোসেনের নতুন একটি ছবিসহ রফিক শিকদারের পরিচালনায়পদ্মা পাড়ের পার্বতী ছবিটি।
নিপুণঅভিনয় করেছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সব চেয়ে বড় তারকাদের মধ্যে দু’জন – মান্না এবং সাকিব খান-এর সাথে।সম্প্রতি সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতার ‘টলিউড’-এ হাজির হয়েছেন নিপুণ – অভিনয় করেছেন প্রসেনজিতের সাথে ‘পরিচয়’ ছবিতে।তবে নিপুণ আক্তার অপেক্ষা করছেন তাঁর ক্যারিয়ারের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার মুক্তির জন্য। আগামী ১৬ই ডিসেম্বর আসছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ নিয়ে ছবি, ‘একাত্তরের মা জননী’।
২০১৭ সালে নিপুন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির কার্যনিবার্হীর সদস্য পদ লাভ করেন। ২০২২ সালে কাঞ্চন-নিপূণ পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।
পুরস্কার
নিপুণ আক্তার দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। সাজঘর চলচ্চিত্রের জন্য প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তারপর ২০০৯-এ চাঁদের মতো বউ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দ্বিতীয়বার অর্জন করেন এই পুরস্কার।
আরও দেখুনঃ