সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, জন্ম পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) ফরিদপুর জেলায় হলেও প্রথাগত শিক্ষা কলকাতায় শুরু হয়। মাত্র চার বছর বয়সে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৫৩ সাল থেকে তিনি কৃত্তিবাস নামে একটি কবিতা পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ একা এবং কয়েকজন এবং ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ প্রকাশিত হয়।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলায় এম. এ. সুনীল ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা লেখা শুরু করেন এবং শুধুমাত্র কবিতার পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
কবিতা প্রথম প্রেম হলেও তাঁর প্রথম উপন্যাস আত্মপ্রকাশ ১৯৬৫ সালে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ২০০টিরও বেশি গ্রন্থের রচয়িতা সুনীল নীললোহিত, সনাতন পাঠক এবং নীল উপাধ্যায় ছদ্মনামেও লেখালেখি করেছেন। ছোটদের জন্য তাঁর সৃষ্ট গোয়েন্দা কাকাবাবু, নীললোহিতের ভ্রমণকাহিনি এবং উপন্যাসগুলি পাঠক সমাদর লাভ করেছে।
তাঁর লেখা সেই সময় গ্রন্থের জন্য তিনি ১৯৮৫ সালে সাহিত্য অকাদেমির পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমির সভাপতি নির্বাচিত হন।
তাঁর কাহিনি অবলম্বনে প্রথম কাহিনিচিত্র সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০)। এই ছবির কাহিনির পুনর্বিন্যাস নিয়ে পরিচালকের সাথে সুনীলের মতপার্থক্য হয়। তাঁর কাহিনি অবলম্বনে মোট ১৩টি ছবি তৈরি হয়েছে।
সত্যজিৎ ছাড়াও তপন সিংহ, গৌতম ঘোষ, ইন্দর সেন, সলিল দত্ত, দিলীপ রায়, সুব্রত সেন প্রভৃতি পরিচালক তাঁর কাহিনি অবলম্বনে ছবি করেছেন। সুবোধ ঘোষের কাহিনি অবলম্বনে বিজয় চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত বারবধূ ছবির চিত্রনাট্য তিনি পরিচালকের সাথে যুগ্মভাবে রচনা করেন।
এছাড়াও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি এবং অপর্ণা সেন পরিচালিত ইতি মৃণালিনী (২০১১) ছবিতে তাঁর লেখা গান ব্যবহৃত হয়েছে।

চলচ্চিত্র পঞ্জি —
- ১৯৭০ অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী,
- ১৯৭৬ অর্জুন:
- ১৯৭৮ বারবধূ (চিত্রনাট্য),
- ১৯৭৯ জীবন যে রকম, সবুজ দ্বীপের রাজা:
- ১৯৮৬ মধুময়, শ্যাম সাহেব,
- ১৯৯৩ গরম ভাত, পদ্মা নদীর মাঝি (গান);
- ১৯৯৫ কাকাবাবু হেরে গেলেন:
- ২০০০ এক টুকরো চাঁদ;
- ২০০১ দেখা:
- ২০০৫ হঠাৎ নীরার জন্য:
- ২০১১ মনের মানুষ, ইতি মৃণালিনী (গান)।
আরও দেখুনঃ