হেমেন গুপ্ত

হেমেন গুপ্ত, চলচ্চিত্র তৈরি ও প্রদর্শনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি প্রথম দিকে নাটকের অংশবিশেষ-এর চলচ্চিত্রায়ণ করত, পরে তারা পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র নির্মাণে এগিয়ে আসে। প্রথম যুগের কাহিনিচিত্র ছিল নির্বাক, এই নির্বাক যুগেই একটি সুসংহত স্টুডিও ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।

 

হেমেন গুপ্ত

 

হেমেন গুপ্ত

 

জন্ম রাজস্থানে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্মান লাভ করেন। সুভাষচন্দ্র বসুর আপ্তসহায়ক হিসাবে কাজ করেছেন। স্বাধীনতা আন্দোলনে বিপ্লবী ধারার সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩১ সালে পুলিসের হাতে ধরা পড়লেও প্রমাণাভাবে মুক্তি পান। ১৯৩২ সালে বিপ্লবী আন্দোলনে অংশ গ্রহণের কারণে ধরা পড়েন এবং ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত বন্দী জীবন কাটাতে বাধ্য হন।

প্রথম ছবি দ্বন্দ্ব (১৯৪৩) আর্ট ফিল্মস-এর প্রযোজনায় তৈরি হয়। বাংলার মন্বন্তরের উপর ছবি তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। ১৯৪৭ সালেও ব্রিটিশ সরকার সেই ছবি করার অনুমতি দেয় নি।

 

হেমেন গুপ্ত

 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমিকায় তৈরি তাঁর ভুলি নাই (১৯৪৮) ও বিয়াল্লিশ (১৯৫১) ছবি দুটি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। বিশেষ করে মনে রাখা যেতে পারে যে বিয়াল্লিশ ছবিটি ১৯৪৮ সালে তৈরি হলেও বাংলার প্রাদেশিক সরকার ছবিটিকে সেন্সারের ছাড়পত্র দেয় নি, দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও আইনি তৎপরতার পর সরকার ছাড়পত্র দিতে বাধ্য হয়।

১৯৫১ সালে হেমেনবাবু বোম্বে চলে যান এবং হিন্দী ছবি নির্মাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। ১৯৬১ সালে বিমল রায় প্রোডাকসন্সের হয়ে তৈরি করেন হিন্দী কাবুলিওয়ালা ছবি। শেষ ছবি অনামিকা (১৯৬৭) বাংলা ভাষায় তৈরির কাজ শুরু করলেও আকস্মিক মৃত্যুর কারণে ছবিটি শেষ হয় নি। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে ১৪টি কাহিনিচিত্র নির্মাণ করেছিলেন।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

চলচ্চিত্রপঞ্জি—
  • দ্বন্দু (১৯৪৩),
  • তকরার (হিন্দী, ১৯৪৫),
  • অভিযাত্রী (১৯৪৭),
  • ভুলি নাই (১৯৪৮),
  • বিয়াল্লিশ (১৯৫১),
  • আনন্দমঠ (হিন্দী, ১৯৫২),
  • ফেরী (হিন্দী, ১৯৫৪),
  • মীনার (হিন্দী, ১৯৫৪),
  • তকসল (হিন্দী, ১৯৫৬),
  • রাজকমল (হিন্দী, ১৯৫৭),
  • ইনসাফ কাহা হ্যায় (হিন্দী, ১৯৫৯),
  • বাবর (হিন্দী, ১৯৬০),
  • কাবুলিওয়ালা (হিন্দী, ১৯৬১),
  • নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস (হিন্দী, ১৯৬৬)।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment