হেমন্তের পাখি চলচ্চিত্রটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিগম এর প্রযোজনায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্যর কাহিনীর উপরে নির্মিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র।
হেমন্তের পাখি চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – জাতীয় চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিগম।
- কাহিনি – সুচিত্রা ভট্টাচার্য।
- চিত্রনাটা – মানস ভৌমিক, শৌনক লাহিড়ী, ঊর্মি চক্রবর্তী।
- পরিচালনা – ঊর্মি চক্রবর্তী।
- চিত্রগ্রহণ – অসীম বসু।
- শিল্প নির্দেশনা – রূপচান কৃত্ব।
- সংগীত পরিচালনা – দেবজ্যোতি মিশ্র।
- শব্দগ্রহণ – অনুপ মুখোপাধ্যায়।
- সম্পাদনা – অর্থকমল মিত্র।
অভিনয় –
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সত্ত্ব মুখোপাধ্যায়, তনুশ্রীশঙ্কর, মমতাশঙ্কর।
কাহিনি
অদিতি (তনুশ্ৰীশঙ্কর) তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় স্বামীর (স) ফাইফরমাশ খাটা এবং ছেলেদের বড় করে তোলার পেছনে ব্যয় করেছে। তার নিজের সম্পর্কে ভাবার সময় বা ইচ্ছে কোনোটাই ছিল না।
ছেলেরা এখন বড় হয়েছে, স্বামীও তার কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট উচ্চপদে আসীন, বাড়িতে দেওয়ার মতো সময় তাদের নেই বললেই চলে। এখন অদিতির সময় কাটতেই চায় না। প্রায় সারা দিনই তার অবসর। এক সময় অদিতির লেখার হাত ছিল, এই অবসরের সময়ে হেমেন মামার (সৌমিত্র) উৎসাহে সে আবার লিখতে শুরু করে।
প্রথম দিকে বাড়ির অন্য সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে নিছক কৌতূহলী ছিল। এখন একাকিত্ব নিয়ে অদিতির কোনো আক্ষেপ নেই, সে নিজের মনে লিখে চলে, লেখার মধ্য দিয়ে তার সব মানসিক অবসাদ ধুয়ে গিয়েছে।
বাড়ির লোকেরা লেখা নিয়ে অদিতির এই নিমগ্নতা সহ্য করতে পারে না। তারা সকলেই অদিতির উপর রাগে ফেটে পড়ে, তুচ্ছ কারণে তারা অদিতির উপর রাগ দেখায়, অদিতির এই স্বাধীন সত্তা তারা মেনে নিতে রাজি নয়। পুরুষশাসিত সমাজে পুরুষেরা মুখে অনেক বড় বড় কথা বললেও নারীর স্বাধীন সত্তাকে তারা মেনে নিতে পারে না।
নারী কখনও মেয়ে কখনও স্ত্রী কখনও মা এই পরিচয়ের বাইরে অন্য কোনো পরিচয় নিয়ে বাঁচতে চাইলে সমাজ তাতে পদে পদে বাধা দেয়। ছবিটি ২০০২ সালে ইন্ডিয়ান প্যানোরামায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ