হেমচন্দ্ৰ চন্দ্ৰ: বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস শতাধিক বর্ষের ইতিহাস আর বাংলা কাহিনিচিত্রের প্রায় একশত বৎসরের ইতিবৃত্ত। ১৮৯৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়। এর কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮৯৬ সালে ৭ জুলাই বোম্বে-র ওয়াটসন হোটেলে লুমিয়েরদের প্রতিনিধিদের প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।
হেমচন্দ্ৰ চন্দ্ৰ । বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক
চলচ্চিত্র পরিচালক হিসাবে পরিচিত হলেও এই শিল্পে প্রথম আবির্ভাব অভিনেতা হিসাবে। ১৯৩১ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রাফট প্রযোজিত এবং প্রশ্ন রায় পরিচালিত নির্বাক ‘চাষার মেয়ে’ ছবিতে অভিনয় করেন।
পরিচালক হিসাবে প্রথম ছবি নিউ থিয়েটার্স প্রযোজিত উর্দু ছবি কারওয়ানি হায়াত (১৯৩৫)। এই ছবিটি তিনি প্রেমাঙ্কুর আতর্থীর সাথে যৌথভাবে পরিচালনা করেন। এই একই বছরে বাংলা ও হিন্দী দুই ভাষায় তৈরি ক্রোড়পতি/মিলিয়োনিয়ার (১৯৩৫) পরিচালনা করেন, ১৯৩৫-৪৯ পর্যন্ত নিউ থিয়েটার্সে ১৫ বছরে একটি উর্দু, সাতটি হিন্দী এবং পাঁচটি বাংলা ছবি পরিচালনা করেন। নিউ থিয়েটার্সে তাঁর তৈরি বাংলা ছবিগুলির বেশির ভাগই বিনয় চট্টোপাধ্যায়ের চিত্রনাট্য অবলম্বনে তৈরি।
নিউ থিয়েটার্স ছাড়ার পর অশোক ফিল্মস-এর প্রযোজনায় রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে সৌরেন সেনের সাথে যৌথ পরিচালনায় তৈরি করেন চিত্রাঙ্গদা (১৯৫৫)। তাঁর করা মেট্রোপলিটান পিকচার্স প্রযোজিত উত্তমকুমার, অরুন্ধতী দেবী অভিনীত মানময়ী গার্লস স্কুল (১৯৫৮) ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই কাহিনি অবলম্বনে জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ১৯৩৫ সালে মুক্তি পায় এবং ঐ ছবি তৎকালীন সময়ে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করে। সুধীন মজুমদার পরিচালিত স্পর্শমণি (১৯৫১) ছবিটি তাঁর প্রযোজনায় নির্মিত।

চলচ্চিত্রপঞ্জি —
- ১৯৩৫ কারওয়ানি হায়াত, ক্রোড়পতি/মিলিয়োনিয়ার
- ১৯৩৭ অনাথ আশ্রম (হিন্দী),
- ১৯৩৯ জওয়ানী কি রীত (হিন্দী):
- ১৯৪০ পরাজয়:
- ১৯৪১ প্রতিশ্রুতি
- ১৯৪২ সৌগন্ধ (হিন্দী);
- ১৯৪৩ ওয়াপস,
- ১৯৪৪ মাই সিস্টার (হিন্দী)
- ১৯৪৮ প্রতিবাদ, উচ্চনীচ (হিন্দী):
- ১৯৪৯ বিষ্ণুপ্রিয়া:
- ১৯৫৫ চিত্রাঙ্গদা,
- ১৯৫৮ মানময়ী গার্লস স্কুল:
- ১৯৬০ নতুন ফসল।
আরও দেখুনঃ