হারানো সুর চলচ্চিত্রটি উত্তম কুমার এবং সুচিত্রা সেন অভিনীত, আলোছায়া প্রোডাকসন্স এর প্রযোজনায় নির্মিত একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র ।
হারানো সুর চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা —আলোছায়া প্রোডাকসন্স।
- প্রযোজক — উত্তমকুমার।
- চিত্রনাট্য — নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়।
- চিত্রগ্রহণ ও পরিচালনা – অজয় কর।
- শিল্প নির্দেশনা – সুনীতি মিত্র।
- শব্দগ্রহণ অতুল চট্টোপাধ্যায়, বাণী দত্ত, নৃপেন পাল, মিনু কাটরাক।
- সম্পাদনা—অর্ধেন্দু চট্টোপাধ্যায়।
- সংগীত পরিচালনা — হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
- গীতিকার — গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।
অভিনয়-
সুচিত্রা সেন, উত্তমকুমার, পাহাড়ী সান্যাল, দীপক মুখোপাধ্যায়, উৎপল দত্ত, শিশির বটব্যাল, ধীরাজ দাস, প্রীতি মজুমদার, শৈলেন মুখোপাধ্যায়, হরেন মুখোপাধ্যায়, আলো সরকার যখেন পাঠক, চন্দ্রাবতী দেবী, শ্রাবণী চৌধুরী (বেবী), কাজরী ৩২, ইরা চক্রবর্তী, মীরা রায়, লীনা দেবী।
নেপথ্য সংগীত –
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, গীতা রায় (দত্ত)।
কাহিনি—
কলকাতার উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে অলক মুখার্জী (উত্তম) স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে দেওদা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। অলকের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে ডাক্তার রমা ব্যানার্জীর (সুচিত্রা) মতান্তর ঘটে এবং রমা চাকরি ছেড়ে দেয়।
একদিন ঝড় জলের রাতে অলক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে আশ্রয় নেয় রমার বাড়িতে। পুলিস অলকের খোঁজে রমার বাড়িতে এলেও রমা তাকে পুলিসের হাতে তুলে দিতে পারে না। রমা অলককে নিয়ে নিজের পিতৃগৃহ পলাশপুরে চলে যায় এবং অলকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নেয় ও চিকিৎসার প্রয়োজনে নিজেকেও অলকের কাছে সঁপে দেয়। অলক পূর্বস্মৃতি ফিরে না পেলেও ক্রমশ সাধারণ জীবনে ফিরে আসে।
হঠাৎ রমার সাময়িক অনুপস্থিতির সময় একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় অলক জখম হয় এবং তার পূর্বস্মৃতি ফিরে আসে, কিন্তু তার পলাশপুর অধ্যায়টি সে বিস্তৃত হয়। কলকাতায় ফিরে অলক তার আগের জীবনে ফিরে আসে, তার বাগদত্তা লতা ও তার পরিবার যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তাদের বিয়ের বিষয়টি সম্পন্ন করতে চায়, অলকের মাও (চন্দ্রাবতী) তাড়াতাড়ি ছেলের বিয়ে দিতে চান। কিন্তু অলকের আপত্তিতে বিয়ে পিছিয়ে যায়।
রমা অলকের ভাগ্নি মালার গভর্নেস হিসাবে তাদের পরিবারে কাজে যোগ দেয়, রমার কাজে এবং ব্যবহারে সকলেই খুশি হলেও লতা ও তার পরিবারের লোকেরা তাকে পছন্দ করতে পারে না। অলকের অবচেতন মনে রমা বার বার ভেসে উঠলেও সে পলাশপুরের বৃত্তান্ত মনে করতে পারে না।
লতা, অলকের মায়ের সাহায্যে রমাকে কর্মচ্যুত করে, সে পলাশপুরে ফিরে যায়। পলাশপুর নামটি হঠাৎই অলকের পূর্বস্মৃতি ফিরিয়ে আনে, সে রমাকে নিয়ে আসার জন্য পলাশপুরে যায়। উত্তম সুচিত্রা জুটির এই ছবি অসাধারণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।

পুরস্কার
১৯৫৭ সালে ছবিটি ভারতের রাষ্ট্রপতির সার্টিফিকেট অফ মেরিট লাভ করে।
আরও দেখুনঃ