হানাবাড়ি চলচ্চিত্রটি ১৯৫২ সালের একটি রহস্যকাহিনী মূলক সাদা-কালো বাংলা চলচ্চিত্র। এই সিনেমাটির কাহিনীকার ও পরিচালক ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। মিত্রানী লিমিটেডের ব্যানারে এই ছবির সঙ্গীত পরিচালক হলেন পবিত্র চট্টোপাধ্যায়।
হানাবাড়ি চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — মিত্রাণি।
- প্রযোজক, কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা – প্রেমেন্দ্র মিত্র।
- সংগীত পরিচালনা – পবিত্র চট্টোপাধ্যায়।
- চিত্রগ্রহণ—অনিল গুপ্ত।
- শব্দগ্রহণ – জে.ডি ইরানী।
- শিল্প নির্দেশনা – বিজয় বসু
- সম্পাদনা – বৈদ্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিনয় –
ধীরাজ ভট্টাচার্য, – প্রণতি ঘোষ, নমিতা চট্টোপাধ্যায়, কমলা অধিকারী, বিপিন মুখোপাধ্যায়, গৌতম মুখোপাধ্যায়, শ্যাম লাহা, নবদ্বীপ হালদার, নীতীশ রায়, বীরেন মিত্র, শশাঙ্ক সোম, কৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ রায়চৌধুরী, বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন রায়, সুবল দত্ত, উৎপল বসু, বীরেন মুখোপাধ্যায়, অস্ত্র মুখোপাধ্যায়, হরিপদ রায়, সুনীল রায়।
কাহিনি—
এক দিন ডায়মন্ডহারবার যাওয়ার পথে জয়ন্তর (গৌতম) গাড়ি খারাপ হয়ে যায়। সে কাছাকাছি একটি পোড়ো বাড়িতে আশ্রয় নেবার চেষ্টা করে, কিন্তু একটি গরিলার মতো প্রাণীর আক্রমণের সম্মুখীন হয়ে কোনোক্রমে পালিয়ে গিয়ে শ্রীমন্ত (নীতীশ) নামে এক শিল্পীর বাড়ি আশ্রয় নেয়।
পরবর্তীকালে জানা যায় বাড়িটি ছিল শশিশেখর নামে এক চোরাকারবারির এবং তার শাকরেদরাই তার লুকোনো ধন সম্পত্তির লোভে তাকে হত্যা করে। এক পুলিস অফিসার (ধীরাজ) বিষয়টির তদন্তর কাজে নিযুক্ত হয় এবং ভিখারির ছদ্মবেশে ঐ বাড়ির কাছেই আশ্রয় নেয়।
হঠাৎ বাগ (শ্যাম) এন্ড নাগ (নবদ্বীপ) কোম্পানি মারফত মামাবাবু (শিবপ্রসাদ) নামে এক ভদ্রলোক তাঁর দুই ভাগ্নি ললিতা (প্রণতি) এবং নমিতা (নমিতা) বাড়িটি কিনে বসবাস করতে শুরু করেন। শ্রীমন্ত ছিল শশিশেখরের দলের লোক, সে তার এক শাকরেদকে গরিলা সাজিয়ে লোক জনকে ঐ বাড়ি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করত এবং গোপনে গুপ্তধনের সন্ধান করত। শ্রীমন্ত ভয় দেখিয়ে মামাবাবু ও তার ভাগ্নিদের বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। জয়ন্তও ঐ বাড়িটির বিষয়ে উৎসাহিত হয়ে ঐ বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে মামাবাবু ও ললিতা তার পূর্বপরিচিত।
এদিকে শ্রীমন্ত ও তার শাকরেদদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেওয়ায় শ্রীমন্ত ঐ শাকরেদকে খুন করার চেষ্টা করে, গুপ্তধনের সন্ধান পেলেও নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে দুজনেরই মৃত্যু হয়। ভিখারিবেশী পুলিস অফিসার নিজের পরিচয় দিয়ে মামাবাবু, জয়ন্ত, ললিতা এবং নমিতাকে সমস্ত বিষয়টি জানায়। জয়ন্তর সাথে ললিতার এবং থানার পুলিস অফিসারের সাথে নমিতার ভবিষ্যতে নিকট সম্পর্কের ইঙ্গিতের মধ্য নিয়ে ছবি শেষ হয়।

ছবিটি তৎকালীন সময়ে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
আরও দেখুনঃ