স্বপ্ন নিয়ে চলচ্চিত্রটি পি. পি. প্রোডাকসন্স এর প্রযোজনায়, পূর্ণেন্দু পত্রীর চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও শিল্প নির্দেশনায় নির্মিত একটি বাংলা ছায়াছবি।
স্বপ্ন নিয়ে চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — পি. পি. প্রোডাকসন্স।
- কাহিনি – প্রেমেন্দ্র মিত্র।
- চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও শিল্প – নির্দেশনা— পূর্ণেন্দু পত্রী।
- চিত্রগ্রহণ – কৃষ্ণ চক্রবর্তী।
- সম্পাদনা- গোবিন্দ চট্টোপাধ্যায়।
- গীত রচনা — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- সংগীত পরিচালনা- রবিশঙ্কর।
অভিনয় –
মাধবী মুখোপাধ্যায়, অরুণ মুখোপাধ্যায়, চারপ্রকাশ ঘোষ, রবি ঘোষ, শিউলি মুখোপাধ্যায়, সমীর লাহিড়ী, প্রবালা, উত্তরা দাস, শৈলেন গঙ্গোপাধ্যায়, রেবা রায়চৌধুরী, প্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
কণ্ঠ সংগীত—
শ্যামল- মিত্র, সুমিত্রা সেন, লক্ষ্মীনারায়ণ।
কাহিনি—
কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে তেলেনাপোতা গ্রামের একসময় সমৃদ্ধি ছিল। বর্তমানে ম্যালেরিয়ায় গ্রাম প্রায় জনশূন্য। এই গ্রামের ভেঙে পড়া জমিদার বাড়ির বর্তমান বংশধর নবীন (সমীর)। বাড়িতে আছে তার শিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী কমলা (মাধবী), এবং এক মাত্র মেয়ে তুতুল। যামিনী (শিউলি) কমলার প্রতিবেশী, বিয়ের বয়স হলেও অভাবের কারণে এখনও তার বিয়ে হয় নি। কমলা ও যামিনী দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব আছে।
যামিনীর বাড়িতে তার অন্ধ মা ছাড়া আর কেউ নেই। হঠাৎ একদিন বিজন (অরুণ), মণিদা (চারুপ্রকাশ) এবং সুধীর (রবি) তেলেনাপোতায় নবীনের আতিথ্য নেয়। তেলেনাপোতায় এসে বিজনের কবিসত্তা জেগে ওঠে, রাতে কবিতা লিখতে লিখতে কিছু কথোপকথন তার কানে আসে, সে বোঝে এই বাড়ির সবটাই সুন্দর নয়।
পরদিন বিজন জানতে পারে যামিনীর মা মারা গিয়েছেন, কন্যাকে পাত্রস্থ করতে না পারার যন্ত্রণা বুকে নিয়ে তিনি চলে গেছেন। যামিনীর কান্না তাকে স্থির থাকতে দেয় না। পরদিন বিজন ফিরে যাওয়ার পথে যামিনীর সাথে দেখা করে, কিছু বলতে না পারলেও তার হাতের আংটিটা রেখে যায় যামিনীর ঘরের কাঠের চেয়ারে।
ফিরে যাওয়ার পথে তার মনে হয় সে কি যামিনীকে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে প্রেমেন্দ্র মিত্রর লেখা এই কাহিনি অবলম্বনে মৃণাল সেন ১৯৮৩ সালে। তৈরি করেন হিন্দী ছবি ‘খন্দহর’।
আরও দেখুনঃ