Site icon চলচ্চিত্র গুরুকুল [ Film Gurukul ] GOLN

সাহিনা সিকদার বনশ্রী । বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী

সাহিনা সিকদার বনশ্রী

সাহিনা সিকদার বনশ্রী একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ঢালিউডের অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এবিসি রেডিওর জনপ্রিয় অনুষ্ঠান জীবনের গল্প-এর মাধ্যমে বনশ্রীর কথা নতুন করে সংবাদ মাধ্যমে ফিরে আসে।

জীবন

সাহিনা সিকদার বনশ্রী ১৯৪৪ সালের ২৩ আগস্ট মাদারীপুরের শিবচরে জন্মগ্রহন করেন।সাত বছর বয়সে তিনি শিবচর থেকে ঢাকায় চলে আসেন।সে সময় তার বাবা ঠিকাদারির কাজ করতেন। তার দুই বোন এবং এক ভাই রয়েছে।

ছেলেবেলা থেকেই বনশ্রী সংস্কৃতি চর্চার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন ফলে একসময় উদীচী গণসাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত হন। তিনি ভালো গান করতেন। এরপর অভিনয় শেখার জন্য যোগ দেন সুবচন নাট্য সংসদে। বিটিভির স্পন্দন অনুষ্ঠানে নিয়মিত আবৃত্তি করেছেন। এছাড়াও প্রায় দশটির মতো বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। সোহরাব-রুস্তম চলচ্চিত্রে ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। এরপর নেশা, মহাভূমিকম্প, প্রেম বিসর্জন, ভাগ্যের পরিহাস ইত্যাদি চলচ্চিত্রে একনাগাড়ে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র ছেড়ে দেয়ার পর আর্থিক অনটনের কারণে বর্তমানে তিনি ঢাকার শাহবাগের ফুল মার্কেটে ফুলের ব্যবসা করেন।

চলচ্চিত্রে আগমন

বনশ্রী নব্বই দশকে চিত্র প্রযোজক ফারুক ঠাকুরের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে ‘সোহরাব-রুস্তম’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। প্রথম ছবির সাফল্যে রাতারাতি তারকা বনে যান এই নায়িকা।ফারুক ঠাকুর প্রযোজিত প্রায় দশটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এ নায়িকা। নিজে ‘নিষ্ঠুর দুনিয়া’ শিরোনামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেন।

চলচ্চিত্রের তালিকা

ব্যক্তিগত জীবন

ফারুক ঠাকুর প্রযোজিতমঈনুল ইসলাম মাহীন নামে এক যুবককে বিয়ে করলেও বিয়ের সাড়ে তিন বছরের মাথায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় মাহীন। চলচ্চিত্রে আসার আগে শ্যামল নামের এক হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন বনশ্রী। সেই ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরে শ্যামল অন্যত্র বিয়ে করে এবং ফারুক ঠাকুরের হাতে তুলে দেয় বনশ্রীকে।

পুরস্কার এবং সম্পাননা

বর্তমানে বনশ্রীর আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বিশ লক্ষ টাকার অর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version