সাড়ে চুয়াত্তর (৭৪।।) চলচ্চিত্র ১৯৫৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় বাংলা কমেডি চলচ্চিত্র। এই ছবিটির পরিচালক ছিলেন নির্মল দে এবং কাহিনিকার ছিলেন বিজন ভট্টাচার্য। ছবিতে মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করেন তুলসী চক্রবর্তী, মলিনা দেবী, উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন। ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ও সনৎ সিংহ – এই পাঁচজন সমসাময়িক গায়কও এই ছবিতে অভিনয় করেন। আরও দু-টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় ও জহর রায়।
সাড়ে চুয়াত্তর (৭৪।।) চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা – এম. পি. প্রোডাকসন।
- কাহিনি – বিজন ভট্টাচার্য।
- চিত্রনাট্য ও পরিচালনা- নির্মল দে।
- সংগীত পরিচালনা — কালীপদ সেন।
- গীতিকার – শৈলেন রায়।
- চিত্রগ্রহণ – অমল দাস।
- শব্দগ্রহণ — অনিল তালুকদার।
- শিল্প নির্দেশনা – সত্যেন রায়চৌধুরী।
- সম্পাদনা – কালী রাহা।
অভিনয় —
মলিনা দেবী, তুলসী চক্রবর্তী, সুচিত্রা সেন, উত্তমকুমার, পদ্মা দেবী, গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়, রেবা দেবী, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়, নবদ্বীপ হালদার, জহর রায়, শ্যাম লাহা, অজিত চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিত রায়, হরিধন মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সনৎ সিংহ, পঞ্চানন ভট্টাচার্য, গোকুল মুখোপাধ্যায়, দেবেন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিস্তৃতি গুপ্ত, পারিজাত বসু।
নেপথ্য সংগীত—
শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, সনৎ সিংহ।
কাহিনি——
ফকির কুণ্ডু লেনের অন্নপূর্ণা বোর্ডিং-এর মালিক রজনী চ্যাটার্জী (তুলসী)। স্ত্রী অন্নপূর্ণার (মলিনা) নামে তিনি বোর্ডিং-এর নাম রেখেছেন। তাঁর দুঃখ বাড়িতে স্ত্রী এবং বোর্ডিং-এর বোর্ডারদের কারুরই মন পান না। বোর্ডিং-এর বোর্ডারদের মধ্যে আছে গৌরীকেদার (ভানু), রামপ্রীতি (উত্তম), কামাখ্যা (জহর), প্রাণকেষ্ট (অর্জিত) ইত্যাদি। আরও আছে চাকর মদন (নবদ্বীপ) এবং সৌদামিনী ঝি (রেবা)। এই বোর্ডারদের মধ্যে আরও আছেন (শ্যাম, হরিধন, মানবেন্দ্র, রঞ্জিত, শ্যামল, পঞ্চানন প্রভৃতি), এদের কেউ ছাত্র, কেউ হঠযোগী, কেউ ব্যায়ামবিদ, কেউ গায়ক, কেউ বাদক, আবার কেউ সাধক।
রজনী বাবুর আত্মীয় সুন্দরী ছাত্রী রমলা (সুচিত্রা) এবং তার বাবা (গুরুদাস) ও মা (পদ্মা) হঠাৎই গৃহহারা হয়ে ঐ মেসের তিনতলায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। রমলাকে কেন্দ্র করে বোর্ডারদের মধ্যে প্রবল চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, রমলাকে দেখার, তার সাথে কথা বলার জন্য সকলেই মনে মনে উৎসাহী হলেও ওপরে ওপরে বোর্ডারদের কেউ কেউ তাদের মেস থেকে তাড়াতে আগ্রহী।
বোর্ডারদের নির্বাচিত প্রতিনিধি রামপ্রীতির সাথে রমলার বিরোধ পরবর্তীকালে প্রেমে পরিণত হয় মদনের দৌত্যে অন্যদিকে মদনের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া রমলার প্রেমপত্র রজনীর কাছে জমা পড়ে। অন্নপূর্ণা সেই প্রেমপত্র দেখে স্বামীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
শেষ পর্যন্ত রামপ্রীতির সাথে রমলার বিয়ে মেসের বোর্ডারদের উদ্যোগেই ঘটে, আর স্বামীর পরকীয়া প্রেমের অনুসন্ধানে অন্নপূর্ণা সপরিবারে মেসে এসে উপস্থিত হন। স্বামীর দ্বিতীয় বার বিয়ে করার চেষ্টা অন্নপূর্ণা সহ্য করতে রাজি নন। এই সব মিলিয়ে হাসির ছবি ৭৪।।

— এই ছবি তৎকালীন সময়ে অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিল। এখনও এই ছবি (মুক্তির ৬০ বছর পরেও) সমান জনপ্রিয়।
আরও দেখুনঃ