শিবাজী চট্টোপাধ্যায় ভারতের একজন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী এবং সঙ্গীত পরিচালক। তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ‘চলেই যাবে জানতেই যদি’ কিংবা ‘পাখীরা চায় আকাশের নীল’ তার বিখ্যাত গান।
শিবাজী চট্টোপাধ্যায়
জন্ম কলকাতায়। মধ্যমগ্রাম কলেজ থেকে বি.এসসি. পাস করেন। ছোটবেলা থেকেই হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অনুরাগী এবং পরবর্তী কালে বিভিন্ন জলসায় হেমন্তকণ্ঠী হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
সুশীল মুখোপাধ্যায় এবং প্রবোধ ভট্টাচার্যের কাছ থেকে সঙ্গীতে তালিম নেন। রেডিও এবং দূরদর্শনেও অনুষ্ঠান করেছেন। গাথানী রেকর্ড তাঁর প্রথম রেকর্ড বার করে ১৯৮২ সালে।শিবাজীকে সঙ্গীত পরিচালক অজয় দাস বিচার ছবিতে গান করাসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন।
চলচ্চিত্রে নেপথ্য সংগীতশিল্পী হিসাবে প্রথম কাজ অজিত গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত বিচার (১৯৮০) ছবিতে। এই ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন অজয় দাস। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০টি ছবিতে গান করেছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, ভি বালসারা, গৌতম বসু, মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বপন চক্রবর্তী, সলিল চৌধুরী, নীতা সেন প্রভৃতি সংগীত পরিচালকের সাথে।
মোহিনী চৌধুরী, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, সলিল চৌধুরীর লেখা গান। ছাড়াও চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসংগীতও পরিবেশন করেছেন।
তরুণ মজুমদার পরিচালিত আলো (২০০৩) ছবিতে একক ভাবে এবং ভালোবাসার অনেক নাম (২০০৬) ছবিতে অরুন্ধতী চট্টোপাধ্যায়ের সাথে যুগ্ম ভাবে সংগীত পরিচালনাও করেছিলেন।

চলচ্চিত্রপঞ্জি —
- ১৯৮০ বিচার, রাজনন্দিনী
- ১৯৮২ মা কল্যাণেশ্বরী, মমতা:
- ১৯৮৩ জবানবন্দী, সমাপ্তি,
- ১৯৮৫ ভালবাসা ভালবাসা, মিলনতিথি,
- ১৯৮৬, আশীর্বাদ, পথভোলা, শাপমুক্তি,
- ১৯৮৭ আবীর, অর্পণ, রুদ্রবীণা, সরগম, তানিয়া,
- ১৯৮৮ দীপশিখা, শুধু তোমারি,
- ১৯৮৯ মহাপীঠ বাণী, সরাজ
- ১৯৯০ চেতনা:
- ১৯৯১ নীলিমায় নীল, পলাতকা, পথ ও প্রাসাদ, সজনী গো সজনী:
- ১৯৯২ পেলাম কলকাতা
- ১৯৯৩ কন্যাদান, প্রথমা, পৃথিবীর শেষ স্টেশন, সোনম রাজা
- ১৯৯৪ বাবা লোকনাথ, মহাভারতী, সালমা সুন্দরী,
- ১৯৯৬ নিখোঁজ:
- ১৯৯৭ ভক্তের ভগবান, জীবন সন্ধান:
- ২০০১ ছোটো সাহেব,
- ২০০৩ আলো
- ২০০৬ ভালোবাসার অনেক নাম।
আরও দেখুনঃ