লালু ভুলু (১৯৫৯) চলচ্চিত্র

লালু ভুলু চলচ্চিত্রটি ১৯৫৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাদা-কালো, ১৫ রীলের ৩৫ মিমি চলচ্চিত্র। অগ্রদূত চিত্রর প্রযোজনায় ও অগ্রদূতের পরিচালনায় ছবিটি তৈরি হয়েছিল।

 

লালু ভুলু চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

লালু ভুলু চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র

  • প্রযোজনা — অগ্রদূত চিত্র
  • চিত্র কাহিনি – বাণভট্ট।
  • পরিচালনা – অগ্রদূত।
  • চিত্রনাট্য ও গীতরচনা — শৈলেন রায়
  • চিত্রগ্রহণ – বিভূতি লাহা, বিজয় ঘোষ।
  • সংগীত পরিচালনা — রবীন চট্টোপাধ্যায়।
  • শিল্প নির্দেশনা মতোন রায়চৌধুরী, সুধীর খান।
  • শব্দগ্রহণ — যতীন দত্ত।
  • সম্পাদনা—বৈদ্যনাথ চট্টোপাধ্যায়।

 

অভিনয় –

সুখেন দাস, পরেশ ধর, গঙ্গাপদ বসু, অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির বটব্যাল, সমর কুমার, গোকুল পাল, হরিমোহন বসু, গৌর শী, শোভা সেন, কাজল চট্টোপাধ্যায়, কমলা মুখোপাধ্যায়, উমা চক্রবর্তী, সুব্রতা সেন, গীতা দে, কমলা অধিকারী, সীমা দত্ত, অণিমা রায়।

 

লালু ভুলু চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

নেপথ্য কণ্ঠ

মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কাহিনি—

লালু (সুখেন) এবং ভুলু (পরেশ) দুই অনাথ প্রতিবন্ধী বালক এক বস্তিতে থাকে। লালু খোঁড়া হলেও ভালো বাঁশি বাজায়, ভুলু অন্ধ হলেও ভালো গান করে। দুজনে রাস্তায় গান গেয়ে ভিক্ষে করে। বস্তির অন্য প্রতিবেশীরা তাদের ভালোবাসলেও তথাকথিত শিক্ষিত মানুষেরা তাদের কখনও বস্তির বাঁদর, আবার কখনও ‘কানা ভিখিরির বন্ধু খোঁড়া ভিখিরি’ বলে উপহাস করে।

 

লালু ভুলু চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

স্কুলের ছেলেরা কখনও লালুর ক্রাচ কখনও অন্ধ ভুলুর লাঠি কেড়ে নিয়ে মজা করে। তাদের উদ্দেশে কাদা ছুঁড়ে, ঢিল ছুঁড়ে আনন্দ প্রকাশ করে। ভুলু লালুকে স্কুলে ভর্তি করে দেয় লেখাপড়া শেখার জন্য। লালুও কিছু সহৃদয় শিক্ষকের সাহায্যে এবং ভুলুর আর্থিক সহায়তায় তার পড়াশোনা চালিয়ে যায়।

পড়ার ব্যাঘাত ঘটবে বলে এক শিক্ষকের প্ররোচনায় লালু ভুলুর ডাকে সাড়া দেয় না, ভুলু তাকে ডাকতে এসে ফিরে যায়। বস্তির সকলে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে লালুর উদ্দেশে, কিন্তু ভুলু তাদের কথায় সাড়া দিতে পারে না।

 

লালু ভুলু চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্রের অভিধান

 

অসুস্থ ভুলু রোগশয্যায় শুয়ে জানতে পারে স্কুলের শেষ পরীক্ষায় ফীজ জমা দিতে না পারার জন্য লালু পরীক্ষা দিতে পারবে না। লালুর অগোচরে ভুলু অসুস্থ শরীরেও গান গেয়ে ভিক্ষা করে হেডমাস্টার মশায়ের হাতে লালুর পরীক্ষার ফীজ জমা দেয়। সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে, হাসপাতালে ভর্তি হয়। লালু পরে বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতালে ভুলুর কাছে ছুটে যায়, নিজের আচরণের জন্য বন্ধুর কাছে ক্ষমা চায়।

 

google news logo
আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করুন

 

ছবিটি তৎকালীন সময়ে চলচ্চিত্র সমালোচকদের প্রশংসার সাথে দর্শক সমাদরও লাভ করে।

আরও দেখুনঃ

Leave a Comment