রজত জয়ন্তী চলচ্চিত্র
রজত জয়ন্তী চলচ্চিত্র । বাংলা চলচ্চিত্র
- প্রযোজনা — নিউ থিয়েটার্স।
- পরিচালনা — প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া।
- সংগীত পরিচালনা- রাইচাদ বড়াল।
- চিত্রগ্রহণ—সুধীন মজুমদার।
- শব্দগ্রহণ — লোকেন বসু
- সম্পাদক – হরিদাস মহলানবীশ।
- গীতিকার — অজয় ভট্টাচার্য।
অভিনয় —
শৈলেন চৌধুরী, দীনেশরঞ্জন দাস, প্রমথেশচন্দ্র বড়ুয়া, পাহাড়ী সান্যাল, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় (বড়), বীরেন দাস, পণ্ডিত শোর, ইন্দু মুখোপাধ্যায়, মেনকা দেবী, মলিনা দেবী, সত্য মুখোপাধ্যায়।
নেপথ্য সংগীত –
পাহাড়ী সান্যাল, মলিনা দেবী।
কাহিনি—
জমিদার বগলাচরণ (শৈলেন) কৃপণ প্রকৃতির মানুষ। বাড়িতে আছে ভাগ্নে রজত (প্রমথেশ) এবং বিশ্বনাথ (পাহাড়ী)। রজত বগলার ঘোষিত উত্তরাধিকারী। বিশ্বনাথের ইচ্ছে মামার তহবিল থেকে দশ হাজার টাকা নিয়ে বন্ধুর সাথে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করবে এবং রজতের ইচ্ছে মামার বন্ধু অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি হরনাথের (দীনেশরঞ্জন) কন্যা জয়ন্তীকে (মেনকা) বিয়ে করবে।
ঘটনাক্রমে হরনাথের সাথে বগলার প্রচণ্ড মতবিরোধের ফলে রজত হতাশ। বর্মা থেকে লক্ষপতি জমিদার রায় শ্রী নটরাজ সামন্ত (ইন্দু) বিদুষী, সুন্দরী কন্যা সুপ্তাকে (মলিনা) নিয়ে গ্রামে আসেন, শোনা যায় তিনি নাকি দানবীর। বিশ্বনাথ ফিল্ম কোম্পানি তৈরির জন্য তাঁর দ্বারস্থ হয়।
বগলার ইচ্ছে নটরাজকে জপিয়ে গ্রামের রাস্তা মেরামত করা। নটরাজের ধান্দা রজতের স্ত্রীর জন্য বগলার স্ত্রীর গচ্ছিত গয়নাগুলি অপহরণ করে গ্রাম ছেড়ে পালানো। সুপ্তা তার বাবার সহকারী। সুপ্তা ও নটরাজের পাতা ফাঁদে বগলা পড়লেও রজত জাল কেটে বেরিয়ে আসে এবং রজতের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে জালিয়াতরা ধরা পড়ে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রজত মামার সাথে হরনাথের নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পর্কটিকে আবার মেরামত করে এবং জয়ন্তীর সাথে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের সেতুবন্ধন সম্ভব হয়। হাসির এই ছবিটি তৎকালীন সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল।
প্রকাশনা—
রজত রায়ের লেখা ‘প্রমথেশ বড়ুয়ার নির্মল প্রহসন রজত জয়ন্তী’ প্রবন্ধটি ১৯৮৭ সালে চিত্রভাষ পত্রিকার বছর ২৯, সংখ্যা- ১ ২ এ প্রকাশিত হয়েছিল।
আরও দেখুনঃ