যমুনা বরুয়া একজন শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় অভিনেত্রী।
যমুনা বরুয়া । বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
জন্ম বেনারসে। পারিবারিক অসুবিধার কারণে প্রথাগত শিক্ষা বাধাপ্রাপ্ত হয়। প্রথম চলচ্চিত্রাভিনয় নিউ থিয়েটার্স প্রযোজিত এবং প্রমথেশ বড়ুয়া পরিচালিত দেবদাস (১৯৩৫) ছবিতে। এই ছবিতে তিনি নায়িকা পার্বতীর ভূমিকায় অভিনয় করেন।
প্রমথেশ বড়ুয়া ছাড়াও গুণময় বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রফুল্ল রায় প্রভৃতি পরিচালকের সাথে কাজ করেছেন।
যমুনা ১৯৩০-এর দশকে তার চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন এবং মহব্বত কি কাসাউতি (১৯৩৪), পি.সি বরুয়া পরিচালিত রূপলেখা (বাংলা) এর হিন্দি সংস্করণ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন।
অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র অচলা (গৃহদাহ, ১৯৩৬), মায়া (মায়া, ১৯৩৬); রাধা (অধিকার, ১৯৩৯): আরতি (উত্তরায়ণ, ১৯৪১) রেবা (শেষ উত্তর, ১৯৪২) ইত্যাদি। উত্তরায়ণ এবং শেষ উত্তর ছবি দুটিতে তিনি নেপথ্য সংগীতও পরিবেশন করেন। বাংলা ছাড়াও হিন্দী এবং উর্দু ছবিতেও অভিনয় করেছেন।
যমুনা তিনটি বাংলা চলচ্চিত্র দেবর (১৯৪৩) ও নীলাঙ্গুরিয়া (১৯৪৩) ছবিতে বরুয়ার পরিচালনায় অভিনয় করেন যেখানে তিনি বরুয়ার প্রভাব ছাড়াই নিজেকে প্রমাণ করেন। তার শেষ চলচ্চিত্র মালাঞ্চ (১৯৫৩) এছাড়াও বরুয়ার পরিচালনার বাইরে ছিল। তিনি তার হিন্দি সংস্করণ ফুলওয়ারি (১৯৫৩) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
৯৫১ সালে মাত্র ৪৮ বছর বয়সে বরুয়ার মৃত্যু যমুনার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দেয়। প্রমথেশ বড়ুয়ার স্ত্রী যমুনা দেবী স্বামীর মৃত্যুর পর অভিনয় জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।বরুয়া ১৯৪০ সালে মর্যাদাপূর্ণ নিউ থিয়েটার্স ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এবং পরিচালনার পাশাপাশি তাঁর চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।
পরবর্তী জীবনে তিনি স্বামী পি.সি বরুয়ার শতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ভারত সরকার ও অসম সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় টকিজের প্রথম পার্বতী হিসেবে সংবর্ধনা লাভ করেন।
চলচ্চিত্রপঞ্জি —
- ১৯৩৫ দেবদাস
- ১৯৩৬ গৃহদাহ, মায়া
- ১৯৩৯ অধিকার;
- ১৯৪১ উত্তরায়ণ,
- ১৯৪২ শেষ উত্তর
- ১৯৪৩ নীলাঙ্গুরীয়, দেবর,
- ১৯৪৪ চাঁদের কলঙ্ক:
- ১৯৫৩ মালঞ্চ।
আরও দেখুনঃ