বিদ্যাপতি ঘোষ: বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস শতাধিক বর্ষের ইতিহাস আর বাংলা কাহিনিচিত্রের প্রায় একশত বৎসরের ইতিবৃত্ত।কোনো দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের ইতিহাস সেই দেশের বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। আশির দশকের মধ্যবর্তী সময় থেকে বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে কাহিনি নির্বাচন থেকে শুরু করে ছবির নাম নির্বাচন, সংলাপ, গান, কাহিনি বিন্যাস, অভিনয় ইত্যাদি প্রায় সবক্ষেত্রেই একটা অদ্ভুত পরিবর্তন এসেছে।
১৮৯৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয়। এর কয়েক মাসের মধ্যেই ১৮৯৬ সালে ৭ জুলাই বোম্বে-র ওয়াটসন হোটেলে লুমিয়েরদের প্রতিনিধিদের প্রদর্শিত চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।
দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারণা ছিল কলকাতায় প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন মি. স্টিফেন্স। ১৯৯৮ সালে সজল চট্টোপাধ্যায়-এর আর রেখোনা আঁধারে গ্রন্থ প্রকাশের পরে এই ধারণা পরিবর্তিত হয় এবং জানা যায় যে ১৮৯৭ সালের ১৮ জানুয়ারি মি. টমাস পি হাডসন কলকাতায় প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন থিয়েটার রয়্যাল-এ।
বিদ্যাপতি ঘোষ
জন্ম পূর্ববঙ্গের (অধুনা বাংলাদেশ) দিনাজপুরে। দেশে প্রথাগত শিক্ষা সম্পূর্ণ করে চিত্রগ্রহণ বিষয়ে শিক্ষা নিতে জার্মানীতে যান। বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সম্পূর্ণ করে কিছুদিন UFA স্টুডিওতে সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসাবে কাজ করেছেন।
স্বাধীন চিত্রগ্রাহক হিসাবে প্রথম কাজ দেবদত্ত ফিল্মস প্রযোজিত এবং জ্যোতিষ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজপথ (১৯৩৩)। সমগ্র চলচ্চিত্র জীবনে তেরোটি বাংলা ছবি ছাড়াও বহু হিন্দী ছবিতে চিত্রগ্রহণের কাজ করেছেন। তাঁর চিত্রগ্রহণে তৈরি চেতন আনন্দ পরিচালিত হিন্দী ছবি নীচা নগর (১৯৪৬) সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে।
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কাহিনি ও চিত্রনাট্য অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে পরিচালনা করেন ছায়াসঙ্গিনী। তাঁর চিত্রগ্রহণে তৈরি শেষ বাংলা ছবি আম্রপালী ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায়।
চলচ্চিত্রপঞ্জি —
- ১৯৩৩ রাজপথ:
- ১৯৪০ শুকতারা
- ১৯৪১ এপার ওপার
- ১৯৪৩ পাপের পথে;
- ১৯৫০ দু ধারা:
- ১৯৫১ সেতু, দত্তা
- ১৯৫২ আলাদিন ও আশ্চর্য প্রদীপ
- ১৯৫৫ রাণী রাসমণি:
- ১৯৫৬ ছায়াসঙ্গিনী:
- ১৯৫৮ শ্রীশ্রীমা:
- ১৯৫৯ ছবি, আম্রপালী।
আরও দেখুনঃ