সকল চলচ্চিত্র ভক্ত, শিল্পী, নির্মাতা সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। আমাদের চলচ্চিত্র বিষয়ক উদ্যোগটি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
আপনারা হয়তো ইতোমধ্যে জেনেছেন, আমরা ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন থেকে, গুরুকুলের আর্ট কালচারের ১৪ টি প্লাটফর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করছি।
তার মধ্যে চলচ্চিত্র একটি।
আজ চলচ্চিত্র শিল্প আমাদের প্রচলিত ছোট-বড় পর্দার সীমানা পার করে, নানাবিধ নতুন মাধ্যমে পৌঁছে গেছে হয়ে। প্রযুক্তির কারণে চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মকৌশলের খোলনলচে বদলে গেছে। একদিকে সময় ও প্রযুক্তির কারণে চলচ্চিত্র শিল্পে যেভাবে অনেক পুরনো পেশা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে, অন্যদিকে অনেক নতুন ও বিশেষায়িত পেশা তৈরি হয়েছে। তাই কর্মক্ষেত্র হিসেবে চলচ্চিত্র আজ অনেক বড়, অনেক বেশি মানুষকে কাজ দিতে সক্ষম।
পাশাপাশি বাজার বড় হওয়ায় আগের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। সেখানে – অভিনেতা ছাড়াও – পরিচালক, প্রযোজক, নির্বাহী প্রযোজক। প্রিন্সিপাল কাস্ট, কাস্টিং ডিরেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, সেট পিএ, প্রোডাকশন ডিজাইনার, আর্ট ডিরেক্টর, সেট ড্রেসার, প্রপ মাস্টার, আর্ট পিএ, ফটোগ্রাফি ডিরেক্টর, ক্যামেরা অপারেটর, ডিজিটাল ইমেজিং টেকনিশিয়ান, গ্যাফার, ইলেকট্রিক্যাল লাইটিং টেকনিশিয়ান, মেক-আপ আর্টিস্ট -আপ এবং হেয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট, স্পেশাল ইফেক্ট মেক-আপ আর্টিস্ট, কস্টিউম ডিজাইনার, ওয়ারড্রোব সুপারভাইজার, কস্টিউম কোঅর্ডিনেটর, প্রোডাকশন সাউন্ড মিক্সার, বুম অপারেটর, স্টান্ট কোঅর্ডিনেটর, স্টান্ট পারফর্মার, ভিএফএক্স সুপারভাইজার, ভিএফএক্স কোঅর্ডিনেটর, লাইন প্রডিউসার, প্রোডাকশন কোঅর্ডিনেটর সহ নানাবিধ দক্ষতার অসংখ্য লোকের কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য আমাদের আরও প্রচুর মেধাবী ও প্রশিক্ষিত চলচ্চিত্র কলাকুশলী দরকার।
এই সব মিলিয়ে প্রশিক্ষিত চলচ্চিত্র কলাকুশলী তৈরির প্রক্রিয়াতে আমরা আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব অবদান রাখতে চাই।
আমাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র কলাকুশলী তৈরি করা।
সেই সাথে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে আমাদের চলচ্চিত্র কলাকুশলীদের কাজকে তুলে ধরা।
এজন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি নিয়মিত অনলাইন ক্লাস ও টিউটোরিয়ালের।
যেগুলো থেকে শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন পেশার বিভিন্ন টেকনিক গুলো খুব সহজে রপ্ত করতে পারবে।
নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিশেষ অনুরোধেও ক্লাস তৈরি হচ্ছে।
আর এই সব কিছুই ফ্রি, আমাদের পক্ষ থেকে উপহার।
আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই – আমরা চলচ্চিত্র কলাকুশলী তৈরির জন্য, এবছর থেকে অভিনয়ে একটি বাৎসরিক বৃত্তি দেব।
যার অর্থমূল্য আড়াই লক্ষ টাকা। এই অর্থ শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় কোর্স, তালিম বা গবেষণা করার জন্য দেয়া হবে।
যারা সিরিয়াস চলচ্চিত্র কলাকুশলী হতে চান, এরকম অনেক মেধাবী ছেলে/মেয়েদের সঠিক তালিম পাবার ব্যবস্থা নেই। কেউ হয়তো সেতার বিষয়ক কোন গবেষণা করতে চাচ্ছেন, সেটার জন্য ফান্ড নেই।
এমন প্রার্থীদের জন্যই এই বৃত্তি।
আমাদের ডেসক্রিপশনে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করুন।
আপনাদের আবেদন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেল যাচাই বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।
আমরা বিশ্বাস করি গুণীর কদর না করলে গুণীর জন্ম হয় না।
তাই আমরা প্রতি বছর বাংলাদেশি চলচ্চিত্র কলাকুশলী মধ্য থেকে একজনকে সম্মাননা প্রদান করবো।
সম্মাননার সাথে ২ লক্ষ টাকা পরিমাণ অর্থ দেয়া হবে।
আমাদের গুণী চলচ্চিত্র কলাকুশলীর সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া আপনারাও যদি মনে করেন এমন যোগ্য কারও নাম আমরাদের দৃষ্টির বাইরে আছে। তার নাম আমাদের ডেসক্রিপশনে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাব করতে পারেন।
আশা করি আমাদের সবার চেষ্টায়, বাংলাদেশ থেকে অনেক আন্তর্জাতিক মানের চলচ্চিত্র কলাকুশলী, গবেষক তৈরি করতে পারবো। যারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবেন।
আপনার পরিচিত আগ্রহীদের এই বার্তাটি পৌঁছে দেবার অনুরোধ রইলো।
সবাই ভালো থাকবেন।
শুভেচ্ছান্তে,
ড. সীমা হামিদ’
প্রধান পৃষ্ঠপোষক, চলচ্চিত্র গুরুকুল
সাভাপতি, ইয়ুথ গ্লোবাল ফাউন্ডেশন