Site icon চলচ্চিত্র গুরুকুল [ Film Gurukul ] GOLN

আফসানা মিমি । অভিনেত্রী, মডেল ও পরিচালক

আফসানা মিমি নব্বই দশকের একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী, মডেল, পরিচালক।মিমি ১৯৯০ সালে বাংলা টেলিভিশনে কোথাও কেউ নেই নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তারপর থেকে তিনি বহু টেলিভিশন নাটক এবং কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

প্রাথমিক জীবন 

আফসানা মিমি জন্মগ্রহন করেছেন ১৯৬৮ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে।বাবার নাম সৈয়দ ফজলুল করিম। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন। মা শিরীন আফরোজ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই অভিনেত্রী পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অভিনয়ে আগমন

মিমি ১৯৯০ সালে বাংলা টেলিভিশনে কোথাও কেউ নেই নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তারপর থেকে তিনি বহু টেলিভিশন নাটক এবং কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৯২ সালে আজিজুর রহমান পরিচালিত বাণিজ্যিক ফ্যান্টাসি ঘরানার চলচ্চিত্র ‘দিল’ দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছিল মিমির। তারপর ‘নদীর নাম মধুমতি (১৯৯৪)’, ‘চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯)’, ‘প্রিয়তমেষু (২০০৯)’ ছবিতে অভিনয় করেন।

পরবর্তীতে তিনি মনের কথা নামে একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন।পরিচালক হিসেবেও  মিমি কিছুদিন কাজ করেছেন।২০১১ সালে তিনি মোঃ জাফর ইকবাল রচিত একটি বাংলা সিনেমা পরিচালনা করেছেন।

২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর অণুয়ায়ী তিনি মুহাম্মদ জাফর ইকবালের গল্প ক্যাম্প অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রের পরিচালনা করেন।বর্তমানে তিনি ‘পাপ পুণ্য’ ও ‘পারুল বানু’ চলচ্চিত্রে  গুরুত্বপূর্ণ এক চরিত্রে অভিনয় করেন।পরিচালক হিসাবে নাটক নির্মাণ করেছেন। উল্লেখযোগ্য নাটক – কাছের মানুষ, ডলস হাউজ, পৌষ ফাগুনের পালা, গৃহগল্প। এটিএন বাংলায় প্রচার হওয়া ‘ডলস হাউজ’ খুবই জনপ্রিয় ছিল।

কৃষ্ণচূড়া নামে নিজের প্রোডাকশন হাউজ খুলেছে মিমি। নিজের মতো করে কাজ করার জন্য এটা করেছিল।

ব্যক্তিগত জীবন

ব্যতিক্রমী নামের একটি নাট্য দলে কাজ করার সময় মিমির সাথে নাট্যরচয়িতা, পরিচালক এবং অভিনেতা গাজী রাকায়েতের পরিচয় হয়। পরবর্তীতে দুজন একসাথে চলে আসেন নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ে। একসময় সখ্যতা গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। তারপর প্রেম-বিয়ে। কিন্তু বেশীদিন স্থায়ী হয় নি তাদের সম্পর্ক। ১৯৯৬ সালে সে সংসার ভেঙ্গে যায়। তারপর  মিমি আর বিয়ে করেন নি।

আফসানা মিমি অভিনীত সিনেমাঃ

আফসানা মিমি অভিনীত নাটকঃ

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version